Sunday, April 28, 2013

প্রাত্যহিক খাবারে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের ঝুঁকি ও রাজনীতি


১.৬ গবেষণার সীমাবদ্ধতা
আমি আমার গবেষণা কাজটিকে যথেষ্ঠ তথ্যবহুল করার চেষ্টা করেছি।  তারপরও কিছু সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়।  আমার গবেষণার যে সকল সীমাবদ্ধতা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল আমি একজন ছাত্র, এছাড়াও রয়েছে সময় স্বল্পতা তথ্য দাতাদের কাছ থেকে তথ্যের অপর্যপ্ততা।  এছাড়া আরও বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে ফান্ড-স্বল্পতা।  ব্যক্তি পর্যায়ে থেকে না হয়ে যদি কোন প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় থেকে এই গবেষণা করা হয় তাহলে গবেষণা আরও যুক্তিযুক্ত হবে বলে আমি মনে করি।
১.৭ অধ্যায় পরিকল্পনা
গবেষণা প্রতিবেদনটিকে লেখার ক্ষেত্রে আমি আমার পুরো কাজটিকে মোট ছয়টি অধ্যায়ে ভাগ করেছি ছয়টি অধ্যায়ে নিন্মোক্তভাবে আমি আমার আমার কাজটিকে সাজিয়েছি ।
প্রথম আধ্যায় আমি গবেষণাটির একটি পরিচিতি তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি।  এতে অন্তভর্ূক্ত হয়েছে গবেষণার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।  এছাড়া গবেষণার কেন্দ্রীয় জিজ্ঞাসাগুলো যার ভিত্তিতে আমি গবেষণা কার্য পরিচালনা করবো এবং আমার গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করব তার উল্লেখ রয়েছে এই অধ্যায়ে।  এছাড়া গবেষণার যৌক্তিকতা শিরোনামে অন্তভর্ূক্ত হয়েছে আমার এই গবেষণাটি কেন গুরুত্বপূর্ণ নৃবিজ্ঞান জ্ঞানকান্ডে কেন এই বিষয়ের উপর গবেষণা প্রাষঙ্গিক কোন কোন পরিসরে গবেষণাটি অবদান রাখতে সক্ষম সে সম্পর্কিত আলোচনা।  এছাড়া এ গবেষণার ক্ষেত্রে যে সকল সীমাবদ্ধতা রয়েছে সে বিষয়গুলোরও উল্লেখ রয়েছে।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে গবেষণাটিতে আমি যে সমস্ত পদ্ধতি অবলম্বন করেছি তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণী তুলে ধরা হয়েছে । 
তৃতীয় অধ্যায়টিতে আমি গবেষণা শুরু করবার কালে যে সমস্ত বই পুস্তকের সাহায্য নিয়েছি সেগুলো পাঠের প্রেক্ষিতে একটি পর্যালোচনা তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি।
চতুর্থ অধ্যায়টিতে আমি খাদ্য ও খাদ্য সম্পর্কিত বিশ্বাস,কেমিক্যালযুক্ত খাবার বলতে আমরা কি বুঝি সেটা ,কেমিক্যালযুক্ত খাদ্য গ্রহনের ফলে আমাদের কি কি স্বাস্হ্য ঝুঁকি ঘটতে পারে সেটা, আর দেখানো হয়েছে খাদ্য নিয়ে রাষ্ট্রের ভাবনাকে।
পঞ্চম অধ্যায়টিতে আমি খাদ্যে রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর পেছনে যে সকল বৈশ্বিক ও স্হানিক রাজনীতি কাজ করে সে বিষয়টা স্পষ্ট করেছি। 
ষষ্ঠ অধ্যায়ে আমার এই গবেষণা প্রতিবেদনটির উপসংহার টানা হয়েছে।  শেষ এই অধ্যায়টিতে আমি মূলত পুরো গবেষণা কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে খাদ্য সম্পর্কে মানুষের বিশ্বাস,কেমিক্যালযুক্ত খাবার,কেমিক্যালযুক্ত খাবার গ্রহনের ফলে স্বাস্হ্য ঝুঁকি, খাদ্যে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের পেছনের রাজনীতি এগুলো সমপর্কিত একটি পর্যালোচনা দাঁড় করিয়েছি।

১.৮ উপসংহার
খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কিত মানুষের ধারণায়ন যেমন অপরিবর্তিত কোন বিষয় নয় তেমনি খাদ্যাভ্যাস ও স্হির কোন বিষয় নয়।  এগুলো মানবজীবনের, মানুষের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।  খাদ্যের সাথে উৎপাদনব্যবস্হা জড়িত যার পরিবর্তনের সাথে সাথে ঐতিহাসিকভাবে সামাজিক বিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।  পরিবর্তিত উৎপাদন ব্যবস্হায় পুঁজিবাদের প্রবেশের ফলস্বরূপ বাজারের আধিপত্যশীল কাঠামো দেখতে পাওয়া যায়।  উৎপাদনব্যবস্হার পরিবর্তন এবং বাজারের আধিপত্যশীল ভূমিকার প্রাক্কালে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে কোন পরিবর্তন আসছে কিনা তার নৃবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান নৃবিজ্ঞানের জ্ঞানতাত্ত্বিক পরিসরে আরেকটি মাত্রা যুক্ত করবে বলে আমি ধারণা করছি।  খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনে বাজারের ভূমিকা এবং রাষ্ট্রীয় শাসনযন্ত্রের অবস্হানের পাঠ ও নৃবিজ্ঞানে প্রাসঙ্গিক।

0 comments:

Post a Comment